স্বদেশ ডেস্ক: ছাতকে বৃদ্ধ বাবাকে লোহার শিকলে বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করায় ছেলে সোহেল মিয়াকে পুলিশে সোপর্দ করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার উপজেলার উত্তর খুরমা ইউনিয়নের রুক্কা গ্রামে। নির্যাতনের শিকার মমশ্বর আলীকে (৭৫) উদ্ধার করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। ছেলে বাবাকে লোহার শিকলে বেঁধে নির্যাতনের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পুত্রসন্তান লাভের আশায় মমশ্বর আলী একে একে তিনটি বিয়ে করেন। এক পর্যায়ে মায়ের কোল আলোকিত করে সোহেল মিয়ার জন্মের মাধ্যমে তার আশা পূরণ হয়। জন্মের পর থেকেই সোহেল মিয়াকে কোলে-পিঠে করে অতিআদরে তিলে তিলে বড় করেন মমশ্বর আলী; কিন্তু অতিআদরের সেই ছেলে তাকে শিকলে
বেঁধে শারীরিক নির্যাতন করবে, তা কখনো ভাবেননি তিনি। একে একে তিন স্ত্রীই মারা গেলে মমশ্বর আলীর জীবনে নেমে আসে দুর্ভোগ। অতিআদরের ছেলে সোহেল মিয়া কারণে-অকারণে নানাভাবে বাবাকে নির্যাতন করে আসছিল। ঘটনার দিন মমশ্বর আলীকে বেধড়ক মারপিট করে সোহেল মিয়া। শারীরিক নির্যাতন সহ্য করতে না পেরে এক পর্যায়ে ঘটনাস্থলেই মমশ্বর আলী প্রস্রাব-পায়খানা করে ফেলেন। এতে আরও ক্ষিপ্ত হয়ে লোহার শিকল দিয়ে বাবাকে শক্ত করে বেঁধে ঘরের বারান্দায় আটকে রাখে সোহেল। বৃহস্পতিবার রাতে খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করেন ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল আহমদ। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় সোহেল মিয়াকে আটক করে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। ছাতক থানার এসআই দিপংকর বিশ্বাস ঘটনাস্থলে গিয়ে তাকে থানায় নিয়ে যান। ছাতক থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ নাজিম উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।